ভ্যাকসিন

।।তৃণময় সেন।।
গুরুগম্ভীর চালে গর্জনের পরই মাঝারি ছাঁটে ঝরতে আরম্ভ করলো আকাশ। বিশাল অর্জুন গাছের ডগা থেকে ধরে মোবাইল টাওয়ারের চূড়া, সর্বত্র ধূসর কালো মেঘের একাধিপত্য। সারা দিনের ভ্যাপসা গরমের হয়তো এটাই কাঙ্খিত পরিণাম। লক ডাউনের সময়কাল তিন অঙ্কে পৌঁছেছে। দেশ-দুনিয়া জুড়ে লক্ষ-লক্ষ বিজ্ঞানী করোনা দানবের প্রতিষেধক বের করতে রাত-দিন এক করে দিচ্ছেন। কিন্তু এখনও অবধি টিকা বা ভ্যাকসিন 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের' খবর হয়ে সংবাদপত্রের পাতায় পাতায় ঘুরছে। জনজীবনে কবে আসবে, কেউ তা জানে না।
আক্ষরিক অর্থে, শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ভয়ে ভয়ে ছন্দে ফিরছে শহর। সীমিত কর্মচারীসহ স্থায়ী দোকানপাট খুলে গেলেও, ফুটপাথের ধারে পুরানো কাপড়-জামা, চিনেমাটির বাসনপত্র, প্লাস্টিকের ফুলদানি নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যে অবধি তীর্থের কাক হয়ে বসে থাকা হাবুল, শামসুল, ঝন্টু কারোরই দেখা নেই। চোখে পড়ছে না দু-পাঁচ টাকার আশায় মানুষের কাছে হাত পাতা, দশ টাকায় তিনটে কলম বিক্রি করা, অটোরিক্সার পেছনে লাফ দিয়ে লটকে পড়া ডানপিটে ছেলেপুলেগুলো। হেঁকে-ডেকে, কলরবে ইঁদুর দৌঁড়ের শহরকে যারা প্রাণবন্ত করে রাখতো, তারা কোথাও যেন হারিয়ে গেছে।
ঠনঠনে লোহার কড়াইয়ের নিচে জ্বলন্ত দেশলাইয়ের কাঠি ছুঁড়ে দিতেই গোলাকৃতি নীল আগুন দপ করে জ্বলে ওঠে। অগ্নি সংযোগ করে পরিচিত এলাকাটাকে দু'চোখে জরিপ করছিল বাবলা। বাস স্ট্যান্ডের পাশ ঘেঁষা এই ভিটায় অনেকগুলো বছর থেকে বসে আসছে সে। চেনা জায়গাটাকে আজকে যেন অচেনা লাগছে। কেমন একটা চাপা ধুকপুকানি বিরাজ করছে সর্বত্র। স্ট্যান্ডের জং ধরা বেঞ্চটিতে ধুলোর মোটা পরত, যেখানে একটা পাগল নেড়ি কুকুরের সাথে প্রায়ই শুয়ে থাকতো। পথের ওপারের বিশাল ব্যানারে ফিকে হয়ে গেছে কোনো এক আন্দোলনের স্লোগান। ব্যতিক্রম বলতে শুধু কংক্রিটের দেওয়ালে ঘেরা দত্ত বাড়ির টগর ফুলের গাছটা। দুঃখ আর অনিশ্চয়তার মরশুমে তার মতো সুখী এই জগতে বুঝি আর দুটো নেই। কাঠির মতো লম্বা, দুর্বল শরীরের গাছটি হঠাৎ করেই সবুজ-সাদায় ভরে উঠেছে। দেওয়ালের এপারেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কয়েকটা ফুল।
তিন সন্তান নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে কোনোমতে প্রাণে বেঁচে ছিল বাবলা-পম্পা। রেশনের চাল, ছোটখাটো আর্থিক সাহায্য পেলেও, বাচ্চাগুলোকে খাইয়ে নিজেরা শেষবার কবে যে পেট ভরে খেয়েছিল মনে পড়ে না। পম্পার হাতে আজকাল আর একটাও কাজ নেই। শুরুর দিকে দিদিমণিদের কাছ থেকে দু-তিনশো করে সাহায্য নিয়ে আসার পর কাজ অথবা সাহায্য দুটোই দিতে পত্রপাঠ মানা করে দিয়েছে দিদিমণিরা। পয়লা বৈশাখের দু'দিন আগে চোখের জলে পাঁঠার বাচ্চাটাকে বিদায় করে হাতে যে ক'টা টাকা এসেছিল, সেইগুলিও প্রায় শেষ। ওদিকে বাবলার দোকানও বন্ধ, তাই দুপুর হতেই ময়দা মাখা, হাঁড়িতে আলু সেদ্ধ তো কড়াইয়ে চিনির সিরা বসানোর মতো কাজ থেমে গেছে রোজনামচার যাপন থেকে।
চপ, জিলাপি, ঘুগনি-পকোড়ার সাথে পাপড় ভাজাও পাওয়া যায় বাবলার রকমারি খাবারের ঠেলাগাড়িতে। এই তো ক'মাস আগেও বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তার নীল-হলুদ 'শিবশক্তি টিফিন কর্নার' নানান বয়সী গ্রাহকরা ঘিরে রাখত। প্যাক করিয়ে নিয়ে যাওয়া গ্রাহকের সংখ্যাও কম ছিল না। সাবানগোলা জলে টপাটপ প্লেট-চামচ চুবিয়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই আবার গামলায় নতুন বাসন-পত্রের ঝনঝনানিতে বিরক্ত হয়ে পড়তো বারো বছরের রন্টু। বন্ধের পর থেকে ছোঁড়াটার আর দেখা নেই। রেল লাইনের ধারে কোথাও একটা ঝুপড়িতে তার বাড়ি, এর বেশি আর কিছু জানা নেই বাবলার।
দীর্ঘ বিরতির পরে পথের ধারের নির্দিষ্ট জায়গায় বসার প্রথম দিনই আয় থেকে ব্যয় বেশি হয়ে গেছে। লাঠিওয়ালা পুলিশটাকে একশো টাকা আর স্যানিটাইজারের পঞ্চাশ টাকা বাদ দিলে পকেটে কয়েকটা দশ টাকার নোট অবশিষ্ট ছিল তার। জিনিসপত্রও নষ্ট হয়েছে বিস্তর। দুই ট্রে সিঙাড়া তেল ছোঁয়নি, চিনির সিরা সপ্তাহদিন চালানো গেলেও বেশ কিছুটা ময়দার তাল বাধ্য হয়ে ফেলে দিতে হয়েছে। বিক্রিবাট্টা কমে এক তৃতীয়াংশ হয়ে যাওয়ায় কাঁচামাল কম নিয়ে আসছে বাবলা। মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে নিজেই পরিষ্কার করে নিচ্ছে বাসনপত্র। কাজের কাজ কিছু না হলেও, 'লক ডাউন' শব্দটার সাথে এই ক'দিনে কোয়ারেন্টাইন, ভ্যাকসিন, স্যানিটাইজার, আইসোলেশনের মতো বেশ কিছু নতুন শব্দ শিখেছে সে। অর্থসহ সেগুলোর কঠিন উচ্চারণ অনেক কষ্টে আয়ত্তে আনতে পেরেছে।
দেখতে দেখতে পাঁচদিন পেরিয়ে গেলো, আগামীকাল বাজার বার, মানে শুক্রবার। আগের মতো ততটা ভিড় না হলেও, বাকি দিনগুলো থেকে শুক্রবারে একটু বেশি রোজগার আশা করছে বাবলা। আজকে কাজের মাঝে মাত্র একবারই গামলার বাসনপত্র ঘাঁটতে হয়েছে। শেষবেলায় একটা দু'শো টাকার খুচরো করতে এদিক-ওদিক দৌড়ঝাঁপ করতে হলো। সন্ধ্যে নামার পরে পাড়ার মস্তান গোছের ছেলেগুলো মদের সাথে স্ন্যাকস হিসাবে বেশ কিছুটা চানা-পাঁপড় ভাজা আর চপ প্যাক না করালে আজকেও ভাঁড়ে মা ভবানীর সাথেই বাড়ির পথ ধরতে হতো।
চল্লিশ ধরার মাত্র বছর তিনেক পেরোলেও কাঁচাপাঁকা মাথা, ভাঙা গালে পঞ্চাশ বছরের বুড়ো লাগছিল বাবলাকে। লাল-কালো তারের ডগায় বাঁধা বাল্বটা পাণ্ডুবর্ণ ছড়াচ্ছে ঘর জুড়ে। সিঙাড়ার জন্য বানানো আলুর মশলার সাথে মুসুর ডাল দিয়ে ভাত মাখে সে। পম্পার ছায়া লম্বা হয়ে পাকঘরের দেওয়ালে সেঁটে আছে। উবু হয়ে বসে মশলাপাতি গুছিয়ে যাচ্ছে পম্পা। বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যে পেরোতেই বাচ্চাগুলো খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। ঢুলুঢুলু চোখে আবদার অনুযায়ী চিপসের জন্য বাবার অপেক্ষা করছিল ছোট মেয়েটি। বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়েছে পম্পা।
ঢকঢক করে জল গিলে পম্পাকে আড়চোখে দেখে বাবলা। পানপাতার মতো মুখখানার অর্ধেক দেখা যাচ্ছে পাতে বসে। খয়েরি রঙের ব্লাউজ আর কোমরে বাঁধা শাড়ির মধ্যবর্তী অনাবৃত অংশের মেদ ভাঁজ হয়ে আছে। হাত উঁচিয়ে কিছু একটা রাখতে গেলে তার অবয়ব পূর্ণতা পায় বাবলার চোখে। দু’জনের তুলনায় বেশ শক্ত-সমর্থ দেহ পম্পার। বছর সাত-আটের ব্যবধান হলেও, বিয়ের প্রথম পাঁচ বছরে নিজের শরীর থেকে তিনটি প্রাণ ভূমিষ্ট করেছে সে। শুরুর দিকে সুন্দরী বৌকে বাইরে কাজে পাঠাতে সাফ মানা করে দিয়েছিল বাবলা। একবার দোলের দিন পম্পার গায়ে রঙ মাখানো নিয়ে ছোটবেলার বন্ধু মিঠুনের গায়ে হাত তুলেছিল সে। কারও সাথে একটু হাসিমুখে কথা বললে ঘরে শুরু হয়ে যেত অশান্তি। বাড়ি ফেরার পথে সস্তা মদ খেয়ে বাপ মরা মেয়ের বংশ থেকে শুরু করে চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলার আগে একটুও ভেবে দেখতো না বাবলা।
ব্যবসা তুঙ্গে থাকাকালীন হঠাৎ করে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যায় শয্যাশায়ী হওয়ার পর পম্পা সম্বন্ধে সকল ভুল ধারণা লহমায় ভেঙে গিয়েছিলো। মেডিকেল কলেজে হাতে স্যালাইন, নিচে ক্যাথিটার নিয়ে সপ্তাহখানেক থাকার পরেও অপারেশন শেষে মাস দুয়েকের আগে কাজে না ফেরার কড়া নির্দেশ ছিল ডাক্তারবাবুর। যত্ন-আত্তির পাশাপাশি পরিবারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল পম্পা। নানা কারণে টিফিন সার্ভিসের কাজটা মাসখানেকের মাথায় থামিয়ে দিতে হলেও, বাইরে বেরোনোর অঘোষিত লাইসেন্সটা আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছিল সে।
পটু হাতে জিনিসপত্র গুছিয়ে পেছন ঘুরতেই চোখাচোখি হওয়ায় শুকনো হাসি হাসে পম্পা।
-- কী দেখতাছ?
-- না, কিসসু না। কইতাছিলাম কাইল কিন্তু শুক্কুরবার। জিনিসপত্র একটু বেশি কইরা নিতে হইবো।
মাথা চুলকে চুলকে বলে বাবলা। বিনা উত্তরে আরও একহাতা ডাল থালায় দিতে গেলে স্ত্রীকে বাধা দেয় সে। গামলার নিচে পড়ে থাকা ডালে এমনিতেও পম্পার থালার দু’মুঠো ভাত ভিজবে না।
--তুমি নেও, আলুর সবজি অনেকটা পইড়া আছে। আমার হই যাইবো।
কৃত্রিম হাসিতে বাবলাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা দ্বারা ভাগ করে নিতে চায় তার মনের ক্লান্তিটুকু। চিন্তায় চিন্তায় মানুষটা বুড়িয়ে যাচ্ছে, কতদিন হলো একসাথে বসে দুটো কথা বলেনি, ঝরা শ্রাবণে কাছে আসেনি। অব্যর্থ নজরে চোখের ভাষা বুঝতে পারা পম্পা বৃষ্টিমুখর রাতে নিজেকে সঁপে দিতে চায় বাবলার কাছে। কিন্তু শেষবারের মতো এইবারও সাড়া দেয় না বাবলা। তার মাথায় অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। ব্যবসাটা কি আদৌ চলবে না! হাতে তো টাকাকড়িও নেই। রাত জেগে সে আগামীর জন্য অপেক্ষা করে, ধোঁয়াশা কেটে সবকিছু আগের মতো ঠিক হয়ে যাবার স্বপ্ন দেখে খোলা চোখে।
সন্ধ্যা সাতটা হতেই সব কিছু গোটাতে হবে, তাই একটু তাড়াতাড়ি শুরু করার ইচ্ছে নিয়ে দুপুর আড়াইটা নাগাদ দোকান ভিটেতে পৌঁছে যায় বাবলা। গ্রাহক টানার জন্য কয়েকটা পাঁপড় ভাজা, সেদ্ধ চানার ওপর কাঁচালঙ্কা দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে সে। বৃষ্টির আশঙ্কায় রামধনু রঙের ছাতাটা আজ সাথে নিয়ে এসেছে। বাজার জাঁকিয়ে বসার পর একটু-আধটু বৃষ্টি আসলেও অসুবিধা নেই। অনেকদিন পর পরিচিত মুখগুলো দেখে একটু স্বস্তি পায়। টুকরো কথায় ব্যক্ত হয় দুঃখ-কষ্টের সাতকাহন। এই অতিমারীর কোপ থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। নিজের দুঃখ ভাগ করে সবাই একটু হালকা হতে চাইছে।
গ্রাহক আগের থেকে কম হলেও বাজারটা মোটামুটি ভালোই বসেছে। ঘন্টাখানেকের মধ্যে পকেটে শ-দুয়েক টাকা এসেছে বাবলার। আজকে আটটা পর্যন্ত চালাতে পারলে কত ভালোই না হতো! বিকেল পাঁচটার দোরগোড়ায় আঁধার নামাতে আকাশপানে চোখ যায় তার। শত্রুর মতো কিছু ধূসর মেঘ নীলাভ আকাশ দ্রুত দখল করে নিতে চাইছে। বিড়বিড় করে নিজের অদৃষ্টকে খোঁটা দেয়। ঝাঁঝরি হাতা দিয়ে গরম সিঙাড়া নামিয়ে এইবার পকোড়াতে হাত দেয়। বাস স্ট্যান্ডের সামনে হঠাৎ করে পুলিশের গাড়ি থামতে দেখে সতর্ক হয়ে ওঠে লোকজন। লাঠি হাতে পুলিশ সব কিছু বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। শহরে গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অধিক লোক সমাগমের ক্ষেত্র বলে বাজার অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। প্রথম অবস্থায় বুঝিয়ে বললেও ক্রমে উগ্র হয়ে উঠছে উর্দিধারীরা। দু-একজনের গায়ে এইবার হালকা করে লাঠি চালানো শুরু করে। লাঠির গুতোয় বাবলার সাতরঙা ছাতাটা বেঁকে গেছে। এগিয়ে বিষয়টা বুঝতে গেলে উত্তরের বদলে জোরালো ধাক্কায় কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়ে সে। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা-কাটাকাটিতে এইবার চড়াও হয় প্রশাসন। দেখতে দেখতেই পাল্টা আক্রমণে নামে সাধারণ মানুষ। পুলিশ ভ্যানকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে ইঁট-পাথরের ঢিল।
ঠেলাগাড়ি নিয়ে পালাতে গেলে বাবলার কানের পাশে একটা ঢিল পড়ে। গাল ভেসে যায় রক্তে। আকাশ ছেয়ে গেছে ঘন কালো মেঘে, ফেরতা পথে দোকানপাট খোলা দেখে আশ্চর্য হয় সে! খাদ্যদ্রব্যের সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বিশাল ফুডমার্টের সামনে মাস্ক পরা সিকিওরিটি গার্ড লিটার খানেক স্যানিটাইজারের বোতল হাতে নিয়ে গ্রাহকদের অভিবাদন জানাচ্ছে। বাজার বন্ধ হলে এইসবও তো বন্ধ হওয়ার কথা ছিল! বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি নামায় একটা অর্ধনির্মিত বিল্ডিংয়ের নিচে কোনোমতে গা বাঁচায় বাবলা। পথের ওপারে অনেকটা জায়গা জুড়ে বৈদ্যুতিক পণ্যের শো-রুম। ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের সাথে নানা আকারের এলইডি-তে ভাসছে দেশে করোনা আক্রান্তের খবর। সংক্রমণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। লন্ডন-আমেরিকাসহ অনেক দেশে প্রতিষেধকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা অনেকটা এগিয়ে গেলেও, ইতিমধ্যেই বাজারে আসছে না ভ্যাকসিন। ভেজা শরীর বেয়ে রক্ত মাটিতে নামলেও ভ্রূক্ষেপ নেই তার। করোনার আতঙ্কের থেকে পেটের খিদে অনেক বেশি ভয়ংকর। জীবনের এই বাঁকে এসে দারিদ্র্য আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরছে। চক্রব্যূহ থেকে বেরোনোর পথ খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে সে। বাবলা জানে এই দারিদ্র্যতার কোনো ভ্যাকসিন হয় না, কোনোদিন হবেও না। টিকে থাকলে হলে লড়ে যেতে হবে। আর যুদ্ধে তো হার-জিত আছেই।

Comments

Popular posts from this blog

তবু আগমনী বাজে..

#সর্বভুক

শারদ সুজন