দহন
--এসো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী হে...নরহরি
আমি অধম কাঙ্গালে ডাকি দেখা দাও আসিয়া হে...
দরাজ গলায় দোহার দেয় বছর সাতান্নর প্রৌঢ় শ্রীদাম। যদিও শ্রীদামের নামডাক ভালো বাইন হিসাবে, কিন্তু দোহার দেবার বেলায়ও শ্রীদামের জুড়ি মেলা ভার। আজ শ্রাবণের প্রথম মঙ্গলবার থাকায় আসতে পেরেছে শীতলাবাড়ির সাপ্তাহিক কীর্তনে, না হলে পুরো বছরটাতে এই মাসই ব্যস্ত থাকে শ্রীদাম। খোল থেকেও পাখোয়াজটা আরও বেশি সুন্দর ধ্বণিত হয় শ্রীদামের হাতের চোটে। মনে হয় কেউ বুঝি কানে মধু ঢেলে দিলো। তবে সারা বছর তো আর বাজায় না, পাখোয়াজ বাজানোর আসল সময় হলো শ্রাবণ মাস, মনসামঙ্গলের মাস। গুর্মির সাথে ঘুরে ঘুরে বাজায় শ্রীদাম। এক একটা লাফের সাথে ওর কাঁধ অবধি কোঁকড়ানো চুল শূন্যে দোলা খায়।
-- ইবার রেডিও ইস্টেশন থাকি গাইবার ডাক আইছে রেবা ছিদাম। দুই-এক দিনর মধ্যে ডেইট জানাইবা তারা।
গুর্মি সুমন্তকুমারের কথায় মনটা নেচে উঠলেও আবার চুপসে যায় শ্রীদামের মুখখানা। সে বলে...
-- যাইতাম তো ঠিক দাদা, কিন্তু পাখাজো কষ লাগাইতে লাইগব। লইয়া গেসলাম বিহারা মেসতরির ঘরো, বেটায় কয় টেকা সাতশ লাইগব বুলে। কইলাম দুই-এক জেগাত গান গাইলাই রেবা টাকা দিমুনে। কয়, আইচ্ছা তিনশ টেকা অখন দিতে অইবো।
ব্যাপারটা সবিস্তারে বলে একবুক আশা নিয়ে সুমন্তকুমারের দিকে তাকায় সে।
-- কইয়ার আমার কাছে তো নাই দাদা, দেইন না টেকা তিনশোগু। বাদে কাটালাইবা না হয়।
-- পরতেক বছর কাম শুরু করবার আগে তুমার ইতা বিজলামি ভাল্লাগে না বা ছিদাম।
প্রবল বিরক্তিতে জবাব দেয় সুমন্ত। আসলে দোষটা শ্রীদামের নয়, প্রত্যেক বর্ষাতে খোল-পাখোয়াজে কাজ না করালে চলে না। চামড়ার জিনিস তো, তাই বর্ষা আসলেই মেরামত করানোটা নিতান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। সুমন্তকুমার এই ব্যাপারে অবগত আছে। কিন্তু এই প্রান্তিক ঐতিহ্যবাহী লোকগুলো পেটের দায়ে পদ্মপুরাণের মতো অনুষ্ঠান করে, কোনো অঞ্চল বা উপত্যকার কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য নয়। এরা সাধারণত আর্থিকভাবে ততটা সচ্ছল হয় না। প্রযুক্তির যুগে কোনোমতে দিনযাপন করাটাই এদের কাছে অদৃষ্ট। শ্রাবণ মাস বাদে বছরের বাকি দিনগুলোতে পেটের তাগিদে নানা কাজ করে শ্রীদাম। কখনও ক্ষেতের মাঠে, তো কখনও দিনমজুরের কাজে ব্যস্ত শ্রীদাম অপেক্ষা করে এই ঘোর বর্ষার দিনগুলোর... আষাঢ়ের ভরা গাঙের পাড়ে বসে সে তাই বিড়বিড় করে পদ্মপুরাণের সুর।
"বন্দিলাম বন্দিলাম মাগো যন্ত্রে দিয়া ঘা
অবধান কর মাগো জগৎ গৌরী মা
হংস বাহনে বন্দম দেবী পদ্মাবতী
অষ্টনাগ সহিত মা এস শীঘ্র গতি."
বছরখানেক আগে অবধি রিক্সা চালাতো শ্রীদাম। ওর বাপের আমলের পুরানো রিক্সাটা এইবার খারাপ হওয়ার পর আর মেরামত নেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলো না।
শ্রীদাম বলে,
--একতা তো পথঘাটর অবস্থা খারাপ, তার বাদে বারিষার দিন বান্ডা বান্ডা গাতো পানি জমি গেলে কুনো বেঙ বুঝা যায় না। আমার রিক্সার চাকাত টাল ধরি লায়।
যুগের পরিবর্তনে তার গলায় ফুটে ওঠে হতাশা।
-- আর আইজকাইল বেটরি রিক্সার যুগ, মাইনষে আমার ভাঙা রিক্সাত কেনেউ বা চরতো!
ই-রিক্সার কথা মনে আসতেই আবার এক গভীর চিন্তায় ডুবে যায় শ্রীদাম। ওর ওই রিক্সা চালানোর দিনগুলোতেই এই লাইনে অটো চালাত অসীম। ওকে হাসিমুখে কাকু বলে ডাকলেও, ছোঁড়াটাকে খুব একটা পছন্দ করত না সে। প্রায় দেড়বছর আগে এই অসীমের হাত ধরেই ঘর থেকে পালিয়ে যায় ওর একমাত্র মেয়ে রূপা। মেয়ের সন্ধান পাওয়ার পর তেমাথার কালীবাড়িতে দুইজনের বিয়ে দিয়ে দেয় শ্রীদাম। মুখে কিছু না বললেও, বাবুরবাজার-ভাঙারপার লাইনে শুধু একটা অটোর আয়ে পরিবার চালানো নিয়ে সংশয়ে ছিল শ্রীদাম। বিয়ের পরে যখন জানতে পারলো যে অটোটা অসীমের নিজের নয়, সে ড্রাইভার মাত্র; তখন আর মেয়ের ভবিষ্যৎ আন্দাজ করতে অসুবিধা হয়নি শ্রীদামের।
বিয়ের ছয়-সাত মাস পরে রূপা বাপের বাড়িতে এলে, মেয়েকে দেখে প্রথমে রেগে গেলেও পরে কেঁদেই ফেলেছিল শ্রীদামের বৌ মালতি। চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে মেয়েটার। মাথার চুলগুলো যেন অনেককাল তেল-সাবান ছোঁয়নি। মাকে জড়িয়ে ফুঁপিয়ে ওঠে রূপা। বলে...
--হে এখন রোজ মদ খাইয়া আয় গো মা। আমারে যেতা মন ধরে গাইল্লায়। কয়, “তোর বাপে বেটি লেংটা গছাইদিছে আমারে, কুন্তাউ তো আনলে না বাপর বাড়ি থনে। পূজার আগে বেটারী রিক্সা এখান লামাইতাম। টাকা পঞ্চাশ হাজার লইয়া আইতে পারলে আইছ না হইলে ইমুখা আইছ না।
পুজোর আগে টাকা জোগাড় করার আশ্বাস দিয়ে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিলেও কোনও অঙ্কে আর পঞ্চাশ হাজার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না শ্রীদাম। অল্পবয়সী ঠিকাদার আব্দুল মতিনের কাছ থেকে টাকা বিশ হাজার ধার নিয়েছে। সব টাকা নগদ শোধ করা সম্ভব নয় জেনে শ্রীদাম বলে...
-- ভাতিজা, তোমার ক্ষেত ইবার আমারে বাগি দেও রেবা কিছু। বাদে হিসাব কিতাব করিয়া আমারে ধান বা টেকা যেতা দেওয়ার দিবায় নে।
প্রস্তাবটা মন্দ ঠেকে না মতিনের। বলে
--ক্ষেতর জেগা তো আছে খাখা, কিন্তু ইনতো বাক্কা জেগা… তুমি বুড়া বয়সো পারবারনি অতাউ ভাবিয়ার।
জবাবে হেসে উঠে শ্রীদাম বলে -- ধুর বেটা, ইখান একখান মাত মাতিলায়নি! পারমু, পারমু। অসুবিধা আরেক জেগাত.. তুমার বয়রা ইগু কিনছো মোহনপুর মনিপুরী বস্তি থাকি। মনিপুরী বয়রা ইতা লইয়া ক্ষেত করা বড় কষ্ট। ইতায় সিলটি মাত বুঝোইন না। একবায় কইলে আরেকবার দৌড়াইন।
শ্রীদামের কথায় দুইজনেই হো হো করে হেসে ওঠে। এইবার ক্ষেতের কাজ শেষ হওয়ার পর পাহাড় থেকে এনে চুঙ্গাপিঠার বাঁশ বিক্রির কথা ভাবছে শ্রীদাম। মহেশ-বুদুল-আজিমরা তো বলছিল যে ব্যবসা খারাপ হয় না। কিন্তু ওটা তো পৌষ-মাঘ মাসের ব্যাপার.. ওর তো আশ্বিন মাসেই টাকা চাই। ভেবে কোনো কুল-কিনারা পায় না শ্রীদাম। মনে মনে মা বিষহরিকে স্মরণ করে গুনগুনিয়ে ওঠে
"সুমন্তকুমার বলে সার
মোর গতি নাহি আর
দয়া কর দেবী পদ্মাবতী
আরে অয় গো... দয়া কর দেবী পদ্মাবতী।"
দিনমজুরদের এখন রোজ মজুরি একশ আশি টাকা হয়ে গেছে, কিন্তু গ্রামের কেউ দেড়শ’র বেশি দিতে চায় না। হাত খালি থাকায় কাজ করে নিলেও বিকেলে বাড়ি ফিরে একা একাই গজগজ করতে থাকে শ্রীদাম। বলে –
-- ধুরো এর থাকি রিক্সা চালানি ভালা আছিল।
মালতি স্বামীর এই চালচলনে অভ্যস্ত। প্রত্যেকবারই লোকের বাড়ি কাজে গেলে আসার পর তার এই ঘ্যানঘ্যান শুরু হয়ে যায়। মালতি বলে –
-- তুমারে কতবার কইলাম, কাম শুরু করবার আগে দাম ফুড়াইয়া লাগিও। তখন তো আর মাত হুনতায় নায়। সারা বেটাগিরি মাত তুমার বাড়িত আইয়া। আগে কও তুমি এনআরসিত আমার নাম উঠানির ব্যাপারে খবর লইছলায়নি!
বাপ-মেয়ের নাম এলেও এনআরসির চুড়ান্ত তালিকায় মালতির নাম আসেনি, যা নিয়ে আজকাল একরকম আতঙ্কেই দিন কাটছে মালতির। স্বামীকে চুপ থাকতে দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে সে।
--ভালা আমার নাম উঠাইও না, তুমি তো চাওউ যে আমি বাংলাদেশ যাইতাম গিয়া হারা জীবনর লাগি।
দিনদিন কেমন যেন খিটখিটে হয়ে উঠছে মালতি। কারণে-অকারণে শ্রীদামের সাথে লেগে যায় ওর। কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে কাঁধে গামছা নিয়ে স্নানের জন্য পুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শ্রীদাম। এই এনআরসি ভেরিফিকেশনের জন্য পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রূপা এসেছিল বাড়িতে, আর ফিরে যায়নি। দাদু-দিদা হতে চলছে শ্রীদাম-মালতি.. কত আনন্দে কাটার ছিল এই দিনগুলো। কিন্তু ওদের দেখে তেমন কিছুই বোঝার উপায় নেই। জীবনটা কাটছে চাপা দুঃখ আর অনিশ্চয়তার দোলাচলে। রূপাকে দেখে যেন চিনতেই পারে না মালতি, কেমন যেন চুপ হয়ে গেছে মেয়েটা। বাপের সাথে তো না-ই, ওর সাথেও এইবার খুব একটা কথা বলে না রূপা। অথচ এই সেদিনও বেশি কথা বলত বলে মালতি ওকে বাচাল বলে ডাকত। কোনো হাসি ঠাট্টার কথা উঠলে রূপার হাসির রোল চারদিক কাঁপাত। মালতি বলতো
--ওতা খাসলত ঠিক কর রে পুড়ি, শ্বশুরবাড়ি গিয়া ইলা হাসলে তোর হড়িয়ে গর্জনাত ধরি বাড়িত থাকি বার করব।
সেই মেয়েকে চুপ থাকতে দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে শাড়ির আঁচলে নিজে চোখ মুছে মেয়েকে সান্ত্বনা দিয়েছে মালতি।
-- চিন্তা করিস না গো মাই, তর বাবায় কইছইন তো পূজার আগে তাইন কিচ্ছু একটা ব্যবস্থা করবা।
আগামীকাল বিকালে ধলছড়া দেববাড়িতে পদ্মপুরাণের আসর আছে, সকালে একবার ক্ষেতেও যেতে হবে। পাখোয়াজটা লাল শালু দিয়ে পেঁচিয়ে রেখেছে শ্রীদাম। বৌকে ঠান্ডা ভাত ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় সে। মেঘলা আকাশের গুমোট গরমে শেষ রাতে ঘুম ভেঙে যায় শ্রীদামের। বালিশের নিচ থেকে বের করে আধখাওয়া বিড়িতে আগুন ধরায় শ্রীদাম। পুরো গ্রাম জুড়ে লোকের মুখে আজকাল ওদের নিয়ে কানাঘুষো চলছে।
--তুমার পুড়ির ব্যাপারে কিতা শুনলাম রেবা ছিদাম, জামাই ছাড়িছুরি আইগেছে বুলে।
গতকালকে সুমন্তকুমারের বৌ জিজ্ঞেস করেছিল শ্রীদামকে।
--কিতা কইতাম বৌদি, কপাল পুড়া থাকলে আর কিতা করতাম।
একদলা দুঃখ বুকে চেপে রেখে জবাব দিয়েছিলো শ্রীদাম। জীবনটাকে আর নিতে পারছে না। এই দুঃখ-কষ্টে ভরা জীবনে সুখের মুখ আর দেখা হলো না। ভেবেছিল মেয়েটার বিয়ে দেওয়ার পর, পাখোয়াজ বাজানোর রোজগারেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে নেবে বুড়ো-বুড়ি। তা তো আর হলোই না, উল্টে দায়িত্বের বোঝাটা আরও দ্বিগুণ হয়ে চাপতে চলেছে শ্রীদামের ঘাড়ে। আজ বিকেলে মালতির কথায় রূপার জন্য বাজার থেকে জিওল মাছ আনতে গিয়ে একশো টাকা খরচ হয়ে গেছে। বাকি পঞ্চাশ টাকার মধ্যে পঁয়ত্রিশ টাকা দিয়ে ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে কেরোসিন এনেছে মালতি। কালকে যে ধলছড়া যাবে, সেই গাড়িভাড়াটুকু নেই শ্রীদামের পকেটে।
লণ্ঠনের নিভু নিভু আলোয় পাশের ঘরে রূপাকে দেখা যাচ্ছে। পাশ ফিরে শুয়ে আছে রূপা। ওর পায়ের দিকটাতে ধানের পোকা মারার কীটনাশকের বোতলটা দেখা যাচ্ছে। বিড়িটাকে ঠোঁটের ফাঁকে ধরে কাঁচের কালো বোতলতার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকে শ্রীদাম। সারা দিনের খাটুনি শেষে মালতী ঘুমিয়ে একেবারে কাদা। সারা জীবন খেটেই গেলো বেচারি, পেলো না কিছুই। সবরকমের চেষ্টা করে দেখে নিয়েছে; পুজোর আগে কেন তার পরেও পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। বৌ-মেয়ে এমনকি নিজের জন্যও কিছু করতে পারলো না এই জীবনে। অনেক হয়েছে! আজকে কিছু একটা ওকে করতেই হবে। বিছানা থেকে সন্তর্পণে পা দুটো নামায় শ্রীদাম। বিড়ির টুকরো পায়ের তলায় চেপ্টে দেয় সে। কয়েক পা এগোলেই রূপার বিছানা। কীটনাশকের বোতল থেকে কয়েক ঢোঁক গিলে চুপচাপ শুয়ে পড়লে কেউ কিছু বুঝবে না। কোনোমতে চোখ বুজলে এই জনমের জন্য নিস্তার পাবে। রূপার ঘরে ঢুকতেই হঠাৎ শ্রীদামের পা লেগে জলের জগটা পড়ে যায়। তখনই রূপা পাশ ফিরে শুতেই থমকে যায় শ্রীদাম। কাকভোরের আলোয় রূপার মুখখানা দেখতে পাচ্ছে ও। সদাহাস্য উজ্জ্বল শ্যামলা মুখখানা অযত্নে মলিন হয়ে গেছে। পেটের দিকটা ফুলে ওঠায় দুর্বল শরীরখানা আরও বেশি চোখে পড়ছে। আদরের একমাত্র মেয়ের এই অবস্থা সামনে থেকে দেখে বড় মায়া হয় শ্রীদামের, চোখ দুটো ভরে আসে। আজকে বিষ খেয়ে সে মরে গেলে কী হবে রূপার! অনাথ হয়ে যাবে তার অতি আদরের মেয়েটি। রূপা যখন ছোট ছিলো, তখন রোজ বিকেলে রিক্সা নিয়ে ফিরতে সময় এক টাকায় চারটে লজেন্স নিয়ে বাড়ি আসত শ্রীদাম। ছোট্ট রূপা পথ চেয়ে থাকত বাবার, দূর থেকে শ্রীদামকে আসতে দেখে খুশিতে চিৎকার জুড়ে দিত। সেই মেয়েকে চরম অনিশ্চয়তার সামনে একা রেখে সে পালাতে চাইছে! নিজেকে খুব ছোট মনে হয় শ্রীদামের, ধিক্কার দেওয়ার ভাষা খুঁজে পায় না। হনহনিয়ে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। কোমরে গামছা পেঁচিয়ে লাঙ্গল কাঁধে নেয় শ্রীদাম। পুব আকাশটা তখন ধীরে ধীরে রক্তিম হতে শুরু করেছে।
Comments
Post a Comment