#শ্মশানবন্ধু
#শ্মশানবন্ধু
।।তৃণময়
সেন।।
বসন্তের
দমকা হাওয়া দিকভ্রান্ত হয়ে বটগাছের মাথায় দোলা খেয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম পথে ধুলো উড়িয়ে চলে
গেলো। শীত শেষ হওয়ার সাথে সাথে দিনটাও বড় হচ্ছে। বেলা সাড়ে তিনটায় ভর দুপুরের ক্ষিপ্রতা
আকাশে। একমুখ সাদা দাড়ি নিয়ে হাওয়ার প্রস্থানের পথ পানে একদৃষ্টে চেয়ে থাকলো গিরিধর।
অগুনতি বলিরেখা আঁকা মুখে তার চোখদুটো আজ বেশ উজ্জ্বল। মাথার সাদা সবুজ গামছাটা খুলে
নিয়ে কোমরে বেঁধে নিলো সে। গত এগারো বছরের সঙ্গী ক্রাচটা অভিমান করে পথের একপাশে পড়ে
থাকলেও তাতে ভ্রূক্ষেপ করে না গিরিধর। পথহারা পথিকের মতো সেও উড়ে যেতে চায় হাওয়ার সঙ্গী
হয়ে। কিন্তু কাজটা এইভাবে রেখে হুট করে চলে যাওয়া যায় না; অথচ থাকাটাও ভীষণ কষ্টের। নির্ঘাত
বোতল থেকে কয়েক চুমুক মেরে নিশ্চিন্তে ঘুম দিচ্ছে বল্লী। তা না হলে এতো হাঁকডাকে কি
কেউ সাড়া না দিয়ে পারে! তাহলে কি একবার ভূষণের বাড়ি যাওয়া যায়! এখান থেকে মিনিট পাঁচেকের
রাস্তা। ব্যাপারটা কি ঠিক হবে! শেষবারের মতো আরেকবার হাঁক পাড়ার সাথে দরজাতে জোরে টোকা
দেয় গিরিধর। কিন্তু তার হাতের চোটে আওয়াজ হচ্ছে না কেন! কড়া ধরে নাড়াতে গেলে কড়াটা
হাতে আসছে না, এইবার সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা দিতে গেলে পড়তে পড়তে নিজেকে অদ্ভুতভাবে সামলে
নেয় সে। কোনো উপায় না দেখে তারস্বরে চিৎকার করে ওঠে... ব-ল-লী.. আবে ও ব-ল-লী।
আটত্রিশ
বছরের যৌথ জীবনে হাজারো ঝড়-ঝাপটা থাকলেও কোনোদিন কোনো অভাব-অভিযোগ করেনি শামলি। তিনটি
বাচ্চাকে খাইয়ে নিজে ভুকা শুয়েছে। অথচ রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে তার গায়ে অনেকবার হাত
তুলেছে গিরিধর। কোনো এক সন্ধ্যায় মদ খেয়ে ট্রাকে মাল লোড করার সময় পা-টা না ভাঙলে হয়তো
নিজের ভুল বুঝতেও পারতো না সে। বাম পা থেঁতলে যাওয়ায় হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলে দিতে
হয়েছিল। পাঁচ বছর শয্যাশায়ী থাকলেও বড় মেয়ের বিয়ে, নিজেরা নিরক্ষর হয়েও ছেলেকে মাধ্যমিকের
গণ্ডি পার করার মতো অসম্ভব কাজগুলো সম্ভব করে দেখিয়েছিল শামলি। সেই কঠিন সময়ে মোড়ের
বড় ধাবাতে সবজি কাটা থেকে বাসন মাজার কাজ করেছে। দু'টো বাড়তি পয়সা উপার্জনের জন্য স্কুল
শেষে ছেলেকে হোটেল বয়ের কাজ করতে ডেকে নিতো সে। গিরিধর তিলে তিলে সুস্থ হওয়ার সাথে
আর্থিক অবস্থা অনেকটাই শুধরে গিয়েছিল। ওয়েটার থেকে ম্যানেজারের চেয়ারে বসার সুযোগ হয়েছিল
ব্রিজমোহনের। তারপর একদিন হুট করে বিয়ে করে বাড়ি ফিরলে ছেলে-বৌকে বুকে টেনে নিয়েছিল
শামলি। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় বৌ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় ব্রিজ। সুখ অধরাই থেকে যায়
শামলির জীবনে।
রুটি-কাপড়ের
তাগিদে অনেক বছর পরে সদর বাজার পুরোনো মালিকের কাছে গেলে, নিজের অপারগতা গিরিধরকে সাফ
জানিয়ে দেন শেঠজি। পড়াশোনা থাকলে কিছু একটা ভেবে দেখা যেত। গতর দিয়ে খাটার বয়স বা অবস্থা
কোনোটাই ছিল না তার। শামলির কথায়ই মাত্র হাজার তিনেকের পুঁজি নিয়ে ধূপকাঠির ব্যবসায়
নামা। পুরানো দিল্লির গুদাম থেকে মাল এনে প্রৌঢ় শরীরটাকে নিয়ে সকাল ন'টা নাগাদ পৌঁছে
যেত বাড়ির অদূরে সরকারি শ্মশানঘাটে। পূর্বোত্তর দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশানের মেইন গেটের
একটা পাশে সারাদিন বসে তিনজনের দু'বেলা পেট ভরার ব্যবস্থা করেই নিতো গিরিধর। আপনজনের
শেষকৃত্য করতে এসে লোকজন প্রতিবন্ধী মানুষটাকে দেখে ধূপ কেনা ছাড়াও যথাসম্ভব সাহায্য করতো। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জীবনটা একটু থিতু হতেই কনকনে এক শীতের রাতে চাদর মুড়ি
দিয়ে ঘুমানো পর আর উঠলো না শামলি। ছোট মেয়েটা একাই হাউহাউ করে কেঁদেছে। বড় মেয়ের তখন
আবার শরীর খারাপ করেছে, আসতে পারেনি। শ্মশানে নিয়ে যাওয়ায় পরে বাইক নিয়ে ঘন্টা দুয়েকের
জন্য এসেছিল ব্রিজ। তার দেওয়া পাঁচ হাজার টাকা নেয়নি গিরিধর। বোনের হাতে গুঁজে দিয়ে
চলে গেছে। ছোট মেয়েটাকে পাত্রস্থ করা ছাড়া আর বিশেষ কিছু চাওয়ার বাকি ছিলো না গিরিধরের
জীবনে। বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। পাকাপাকি কিছু হওয়ার আগেই মহামারীতে আক্রান্ত হলো গোটা
পৃথিবী।
জীবন
সায়াহ্নে অনেক কিছুই দেখার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গিরিধর জীবনে এমন দুর্দিন আর দু'টো দেখেনি।
যৎসামান্য জমা টাকার বেশিরভাগটাই গত দু'মাসে খরচ হয়ে গেছে। এইভাবে আর ক’দিনই বা চলা
যায়! একদিন সাহস করে কয়েক প্যাকেট ধূপকাঠি নিয়ে শ্মশানে গেটে হাজির হলে অবাক হয় সে।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত সাদা রঙের পলিথিন কাপড়ে আপাদমস্তক ঢাকা লোকগুলো গাড়ি থেকে লাশ
নামাচ্ছে। লাশের শরীরও তাদের মতোই কাপড়ে মোড়ানো, চোখ-মুখ কিছু বোঝার উপায় নেই। পা টিপেটিপে
একটু এগিয়ে ভেতরে উঁকি মারলে সেই সমান দৃশ্য। সাদা জোব্বা পরা দু'জন সেখানেও দাঁড়িয়ে
আছে। অভিজ্ঞ হাতে শ্মশানের কাজ সারছে তারা। তাহলে এই লোকদুটোই কি বল্লী আর ভূষণ! ডাক
দেওয়ার সাহস করতে পারলো না। আধঘন্টার মধ্যে তিনবার গাড়ি এসেছে, সাথে এনেছে ডজন খানেক
লাশ।
--
অরে বল্লী....ভূষণ! ইয়ে তুমলোগই হো না!
চাপা
গলায় আওয়াজ দেয় সে।
--ইস
নরক মে তুম ক্যায়া করনে আয়ে হো তাউ? ঘর যাও, পুলিশ দেখেগা তো পকড় কে লে জায়েগা।
ভূষণের
গলা চিনতে পারে গিরিধর। কৌতূহলে গেটের ভেতরে ঢুকে পরে সে।
--বহুত
জাদা থক গয়া হু তাউ। বিড়ি সাথ লায়ে হো তো পিলাও।
মুখ দেখতে না-পেলেও বল্লী খুব পরিশ্রান্ত তা ঠাহর
করতে পারে সে। মাথার টুপি আর মাস্কটা মুখ থেকে নামিয়ে গটগট করে বোতল থেকে গলায় জল ঢালে
দুইজনেই। কাজ চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে। বেশিরভাগই করোনা আক্রান্ত রোগীর লাশ। উপরি ইনকাম
থাকলেও এখন আর শরীর দিয়ে পারা যাচ্ছে না। সারা শরীরটাকে এইভাবে ঢেকে রেখে আগুনের কাজ
করা যায় নাকি! খাওয়া-ঘুমেরও তো ঠিক নেই।
--তু
হমারে সাথ কাম করেগা তাউ? আচ্ছে প্যায়সে মিলেঙ্গে...
বল্লীর
প্রস্তাব মন্দ লাগে না গিরিধরের। হাতে যা টাকাকড়ি আছে, তাতে বড়জোর দিন পনেরো চলবে। এক
পা অচল হলেও শরীরটা এখনও একেবারে নরম হয়ে যায়নি। আর বাঁচতে হলে তো দু'বেলা খেতেও হবে;
পরদিন সকাল হতেই যথাস্থানে গিয়ে হাজির হয় গিরিধর। একটা অতিরিক্ত পিপিই কিটের ব্যবস্থা
আগে থেকেই করে রেখেছিল বল্লী। গায়ে দেওয়ার পর তাদেরই একজন হয়ে উঠলো সে। সারাদিন খুঁটিনাটি
অনেক কাজে নিরলস সাহায্য করে গেলো দু'জনকে। তার যোগদানে ভূষণরাও বেশ খুশি হয়েছে। দিনের
শেষে সব খুচরো-আস্ত নোট মিলিয়ে সাড়ে সাতশো হাতে আসলে গিরিধরের চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে
ওঠে। এতগুলো টাকা শেষবার কবে কামিয়েছিল, ভুলেই গেছে।
এলোমেলো
হয়ে যাওয়া জীবনটা মহামারীর কল্যাণে যখন আবার একটু গুছিয়ে উঠেছে, তখনই একদিন সন্ধ্যেবেলা
বাড়ি ফিরে ব্রিজকে দেখে আশ্চর্য হয়েছিল গিরিধর। দু'পা ছড়িয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো দাওয়ায়
বসে আছে। উস্কোখুস্ক চুল, কোটরাগত চোখ, বিদ্ধস্ত চেহারা দেখে মনটা নরম হলো গিরিধরের।
জিজ্ঞেস করে জানা গেলো যে ধাবা প্রায় তিন মাস থেকে বন্ধ আছে, কোনো রোজগার নেই। বাইক
বিক্রি করে যে ক'টা টাকা পেয়েছিল, তাও শেষ হয়ে গেছে। এই মাসে ঘরের ভাড়া দিতে পারেনি, ওদিকে
বউ আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা। এইসব বলতে বলতে ফুঁপিয়ে উঠে বাপের দু'পা জড়িয়ে ধরলো ব্রিজ। একবার
মনে হচ্ছিল এর একটা কথাও শুনবে না, বাড়ি থেকে সোজা বেরিয়ে যেতে বলে দেবে ছেলেকে। এইরকম
সন্তান না থাকলেই বা কি যে নিজের মা-বাপকে ফেলে রেখে চলে যায়! কিন্তু আজকে শামলি থাকলেও
কি তাই করতো! অনেক কিছু ভেবেচিন্তে ছেলেকে আশ্রয় দেয় সে। আয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যয়টাও
বেড়ে গেলো। চরম অসময়ে হঠাৎ করে বড় মেয়ের জামাই হাত পাতলে তাকেও খালি হাতে ফেরাতে পারেনি
গিরিধর। স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা দু'টো শ্বশুরের কাছে ছেড়ে গেছে। জীবনে মাত্র এক-দু'বার
মামাবাড়ি আসা বাচ্চারা কয়েকদিনেই মিশে গেলো সবার সাথে। ছোট কুঁড়েঘর জনসমাগমে মুখর
হয়ে উঠেছে।
বেশি
কামাইয়ের হাতছানিতে প্রথমে কাজটা ভালো লাগলেও দিনের শেষে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে পড়তো
গিরিধর। যা রোজগার হয় পুরোটাই খরচ হয়ে যায়, যোগফল শূন্য। দুইয়ের জায়গায় ঘরে এখন ছয়জন
মানুষ। আর যে ক'দিনের মধ্যেই আসতে চলেছে, তার খরচটাও নেহাত কম নয়। ব্রিজ কাজের জন্য রোজ
সকালে বেরিয়ে যাচ্ছে। ধাবা আবার খুলে গেলেও সারা দিনে দুইশত টাকা নিয়ে আসা যায় না। যে
মহামারি একদিন শাপে বর হয়ে গিয়েছিল, তার নিয়াময়ে আকাশপানে জোড়হাত করে গিরিধর। মাস ছয়েক
বাদে ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হলেও কাজ-ব্যবসার বাজার খুব ধীরে ছন্দে ফিরছিল।
পরিস্থিতি কিছুটা শোধরালে এইবার থেকে বাপ-বোনের সাথে সম্পর্ক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
ফিরে গেছে ব্রিজ। বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে
ধূপকাঠি আনতে সদরে যাওয়া হয়নি। শ্মশানের কাজটা আর কতদিনই বা চলবে! অনেকগুলো প্রশ্ন
ঘুরপাক খাচ্ছিল গিরিধরের মাথায়।
প্রত্যাশা
মতোই শ্মশানের কাজ কমে গেলো ধীরে ধীরে। এখন আর আগের মতো আপাদমস্তক ঢেকে কেউ খুব একটা
আসে না। কিছুদিন থেকে একটু ইশারায় বোঝানো কথাটা এইবার সোজাভাবেই গিরিধরের সামনে রাখলো
বল্লী-ভূষণ। শ্মশানে এখন আর তিনজনের কাজ নেই; তাকে কিছু একটা দেখতে হবে নিজের জন্য।
অনেকদিনের খাটুনি বল্লীরা শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলেও, ষাটোর্ধ্ব গিরিধর যেন কয়েক মাসেই বেশ বুড়ো হয়ে গেছে। ধূপের ব্যবসাটা বেশ কিছুদিন হলো লাটে উঠেছে। দু'হাতে রোজগার করলেও
আজকে আবার সে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েছে। এই বয়সে নতুন কিছু করার বা ভাবার শক্তি বা সামর্থ্য
কিছুই নেই তার কাছে। অচল শরীর নিয়ে এইবার গেটের বাইরের পরিচিত জায়গাটাতে একটা ভাঙা
বাটি নিয়ে বসতে শুরু করে দিলো সে। সিকি-আধুলি যা পায় ট্যাঁকে গুঁজে বাড়িমুখো হয়। বল্লী
দুপুরবেলা নিজের জন্য যা খাবার বানায়, তার ভাগ দেয় বুড়ো তাউকে। দু'মাসের কনকনে ঠাণ্ডা শেষে হঠাৎ করে গরম সকালবেলা মেয়েটা যখন দাদার বাড়ি গেলো, তখন শরীর এতোটা খারাপ লাগেনি।
কাশির সাথে বুকে ব্যথা, মাথাটাও ঘুরছে মনে হচ্ছে। মাঝবেলা থেকে গরম হাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে উঠেছে ধুলোর ঝড়। সকাল
থেকে শ্মশানে মাত্র দুটো লাশ এসেছে। ভূষণ বাড়ি গেছে, বল্লীটাকেও দেখা যাচ্ছে না। শুষ্ক
হাওয়ায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মেয়ে ঘরে না থাকায় আজকে জলের বোতলটা সাথে নিয়ে আসা হয়নি।
উঠে গেটের ভেতরে যাবে, সেই শক্তিটুকু পাচ্ছে না গিরিধর। ভয়ংকর কাশিতে বুকের ব্যথাটা আবার চাগাড় দিয়ে উঠলে গলা
দিয়ে আওয়াজ বেরোয় না তার। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে, ভূশায়িত শরীরটা বেঁকে গিয়ে স্থির হয়ে
পড়ে রইলো।
হুশহাশ বেগে বাইক, গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। তপ্ত অবেলায় আশেপাশে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। বল্লীটারও পাত্তা নেই, নিজেকে এইভাবে ফেলে রেখে ভূষণের বাড়ি যাওয়াটাও ঠিক হবে না। গেলোই বা কিন্তু তাকে বোঝাবে কেমনে! অসহায় গিরিধর অপেক্ষার পথ চেয়ে আছে। শ্মশানের অন্তিম ক্রিয়াকলাপের জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞ হলেও নিজের শরীরটাতো আর টেনে চিতায় নেওয়া যায় না। একটা কুকুর কয়েক সেকেন্ড শুঁকে পা তুলে প্রস্রাব করে দুলকি চালে সোজা পথে হারিয়ে গেলো। পেটের দায়ে হলেও প্রায় একবছর ধরে কত মানুষের শ্মশানবন্ধু মানুষটাকে মাত্র কুড়ি পা দূরের চিতাতে তুলে দেওয়ার কেউ নেই। নিজের নিথর দেহের পাশে ঠায় বসে থাকে গিরিধর। মিনিট পাঁচেক আগে একজন মাঝবয়সী লোক এসে তার ভাঙা বাটি থেকে খুচরো পয়সাগুলোর সাথে দশ টাকার নোটটাও তুলে নিয়ে গেছে।
Comments
Post a Comment