জঙ্গি

#জঙ্গি

 ।।তৃণময় সেন।।

--থোড়া জলদি ঠেলাখান ঠেল রেবা বাশশা। বাড়ি যাইতে যাইতে আন্ধাইর অইগেলে কিলা অইবো কচাইন!

কাঁধ থেকে ঝুলে পড়া গামছাখানি একটু গুছিয়ে নিয়ে আরেকটু জোরে পা চালায় হাশমত আলি। বিড়িটা কানের ভাঁজ থেকে নিয়ে ঠোঁটে বসায় সে। এই ধরাবে তো সেই ধরাবে করে করে ট্রেনে আর বিড়ি ধরানো হয়নি। সেইক্ষেত্রে লোকজন কিছু বলে দেবার ভয় থেকে বেশি চলতি ট্রেনে হাওয়ার জোরে বিড়ি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবার শঙ্কাটাই মনে কাজ করছিলো। পড়ন্ত বিকেলে পথের দুইধারে শুঁটকির আঁশটে গন্ধ বিলিয়ে গায়ের জোরে ঠেলাগাড়িখানা এগিয়ে নিয়ে চলছে তার সাগরেদ বাদশা। শহরতলীর ছোট গ্রামটিতে শুঁটকি ব্যবসায়ী হিসাবে বেশ নামকরা মানুষ হাশমত আলি। ফাটকবাজার থেকে শুরু করে পেঁচাছড়া বাজার সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ওর ক্রেতারা। প্রত্যেক পনেরো-কুড়ি দিন অন্তর অন্তর জাগীরোড আড়ত থেকে মাল নিয়ে আসে হাশমত। গন্ধ শুঁকে নতুন-পুরোনো শুঁটকি অনায়াসে পরখ করে নেয় সে। আষাঢ়-শ্রাবণে ভালো শুঁটকি পাওয়া মুশকিল। একে তো জিনিস তেমন ভালো হয় না, তারপর টেকসই মোড়কে বেঁধে না রাখলে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘোর বর্ষার দিনগুলোতে সূর্যদেব কখনও বা সদয় হলে আড়ত থেকে আনার পর শুঁটকিগুলো রোদে একদফা শুকিয়ে নেয় পুঁটি-কুচো চিংড়ি-কৈ মাছের শুঁটকি থেকে শুরু করে শুকনো মাছের সমাজে বড়লোক হিসাবে খ্যাত লটিয়া শুঁটকিও রাখে সে।

গ্রামের লোক শুঁটকিকে 'হুকইন' বলে, তাই হাশমত আলি সবার কাছে হুকইনওয়ালা হাশমত আলি নামে পরিচিত। জেলের ছেলে হাশমত যে একদিন পাকা ব্যবসায়ী হয়ে উঠবে, তা হাশমত আলি নিজেও কোনোদিন ভাবেনি। ভালো মাছ চেনার ক্ষমতা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া হাশমত শুঁটকির ব্যবসাতে যখন নেমেছিলো, তখন তার বয়স মাত্র কুড়ি পেরিয়েছে। পুকুরপাড়ের বাঁশের ঝাড় বিক্রি করে যে সোয়া দুশো টাকা পেয়েছিলো, তার থেকে চল্লিশ টাকা ট্রেনে জাগীরোড আসা-যাওয়া বাবদ গেছে, বাকি পুরোটা টাকার শুঁটকি নিয়েছিল সে। ভারী বস্তা নিজে পিঠে করে ট্রেনে চড়িয়েছিলো। তারপর সারা রাত জেনারেল কম্পার্টমেন্টের বাথরুমের পাশে বসে কাটিয়েছে। একে তো সে একেবারেই নতুন, তার উপর মল-মূত্রের বিশ্রী ঝাঁঝালো গন্ধ সারারাত দুই চোখের পাতা পড়তে দেয়নি। এতোটা বছর পেরিয়ে গেলেও সেই দিনগুলো তার মনের কোণে আজও তাজা হয়ে আছে।

হাশমত আলির সাগরেদ বাদশাকে কয়েকটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য গ্রামসুদ্ধ লোকে চেনে। একমাথা কাঁচাপাকা কোঁকড়ানো চুল, ছোট কিন্তু উজ্জ্বল দু'টো চোখ, সর্বদা হাসিমাখা মুখে শিশুসুলভ সারল্য। বাদশা হাসলে তার চোখদুটো প্রায় বন্ধ হয়ে আসে। ছোট-বড় নির্বিশেষে সবাইকে বাবু সম্বোধনকারী বাদশা হিন্দু না মুসলমান কেউ জানে না। বহু বছর আগে এক প্রলয়ঙ্করী বন্যার ঢেউয়ে বানভাসীদের সাথে আছড়ে পড়েছিল আর যায়নি। কোনোকালে কেউ তার খবর নিতেও আসেনি। জিজ্ঞেস করলে বলতে পারে না বাড়ি কোথায়, কোথা থেকেই বা এসেছে। হাশমত আলির বড় বারান্দার একপাশে তার জন্য মশারিসুদ্ধ একখান চকি বরাদ্দ থাকলেও বাদশা মাঝেমধ্যেই আসে। কারও বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান থাকলে বিনা নিমন্ত্রণে একদিন আগেই পৌঁছে যায় সে। না, নিছকই পেটের দায়ে নয়। বাজারে যাওয়া, প্যান্ডেল বাঁধা, ছোটখাটো ফাইফরমাশ খাটার ব্যাপারে বাদশার জুড়ি নেই। কাজের বিনিময়ে কিছুই চায় না, উল্টে দু'টো টাকা হাতে ধরিয়ে দিলে তাতেও তার প্রবল সংকোচ। ঈদে-মিলাদে শিন্নির লাইনে সবার প্রথমে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আবার ভৈরববাবার মন্দিরের বাৎসরিক হরিনাম কীর্তন শুনে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ে তার চোখ দিয়ে। এমনিতে খুব বিনয়ী হলেও মাঝে মাঝে একটা আজব ব্যামো বাদশার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেই 'দিন দুনিয়াটা নিজের সৃষ্টি বলে ভাবে বাদশা। আর সেটা এতোটাই বেশি পরিমাণে যে গাছ-কুকুর-বিড়াল থেকে শুরু করে স্ট্যান্ডে গিয়ে বাস, অটোগুলোর গায়ে পরম স্নেহে হাত বোলাতে থাকে। কাজ-কর্ম সব লাটে তুলে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। যাকে-তাকে ইচ্ছা-অনিচ্ছার তোয়াক্কা না করে মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করে। দোকানে ঢুকে হাত লাগিয়ে রসগোল্লা-চমচম তুলে নেয়। বাসে চড়ে ভাড়া দেয় না। সবাইকে বাবু সম্বোধন করা বিনয়ী মানুষটা হঠাৎ তুই-তোকারি শুরু করে দেয়! দার্শনিক কায়দায় মানুষকে বলে ওঠে -

-দুনিয়ার জমিনো তোর কেউ নায়! মা-বাপ-ভাই-বইন সারা হুদ্দা! ইতা দিন-রাইত কার ইচ্ছায় অয় জানসনি বেটা? তুই কার খাইয়া আছত জানসনি রে?

হাবুইতা  আমার...হক্কলতা আমার!

নিজে অষ্টম শ্রেণী পাশ হাশমত, কিন্তু ছোট ছেলেটিকে পড়াশোনা করার জন্য বাইরে পাঠাতে একবারের জন্য ভাবেনি সে। বড় ছেলেটা শিক্ষিত হয়েও চাকরি-বাকরি না পেয়ে অনেকদিন বাপের সাথে ব্যবসাতে সাহায্য করেছে। দুই বছর হল টেট টিচারের চাকরিটা হাতে লাগায় ভালোর সাথে খারাপটা এটাই যে প্রৌঢ় হাশমতের এতো ধকল আর সয় না এখন। আধপাগল বাদশাটা একমাত্র ভরসা। ছেলেরা এই ব্যবসাতে হাত দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় শেষ বয়সে কেমন একটা খেই হারিয়ে ফেলছে হাশমত। অনেকদিন থেকেই বাদ দিয়ে দেবে ভাবছে, কিন্তু আবার চালিয়েও যাচ্ছে। তিল তিল করে গড়ে তোলা এই ব্যবসা তার কাছে সন্তানের মতো। তাছাড়া পুরোনো গ্রাহকদের সাথে গভীর সম্পর্ক হয়ে যাওয়ায় শরীর অবসরে যেতে চাইলেও মন চাইছে না। লইট্যা-খইলসা-চাপিলা-পুঁটি মাছের শুঁটকি নিতে হিন্দু-মুসলিম-মনিপুরী গ্রাহকরা আসে হাশমতের কাছে। তারাপুরের সিনহাদা একবার বাড়ি থেকে ওর জন্য পাল্টই বানিয়ে নিয়ে এসেছিল। শুকনো মাছটা মনিপুরী মানুষ ভালোই খেতে জানে। অমন ঝাল অথচ সুস্বাদু সিদলের পদ জীবনে খায়নি হাশমত। টাকা-পয়সা ছাড়াও এই ব্যবসাতে অনেক লোকের ভালোবাসা কামিয়েছে হাশমত। তাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা দিয়েছে ছেলেদের। একা হাতে এতোটা বছর ব্যবসা, পরিবার সামলে সন্তানদের পড়াশোনা করিয়েছে। ছোট ছেলেটা কি নিয়ে পড়াশোনা করছে না জানলেও ছয়মাস আগে অবধি সময়মত টাকা পাঠিয়ে গেছে সে। আজকাল কাজ পেয়ে যাওয়ায় টাকা পাঠাতে হয় না ঠিকই, কিন্তু বাড়িতে কথাবার্তা বলা একদম কম করে দিয়েছে জসিম। রোজ বিকেলে ফোন করা তো দূর, সপ্তাহে একদিন যে মায়ের সাথেও কথা বলার সময় হয় না তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় হাশমত গিন্নির। ভরা চোখে রোজ ছেলেদের জন্য আল্লার কাছে দোয়া করে সে।

মাঘের শুরুতে গ্রাম বরাকের শীত যেন এইবার পুরো দুনিয়ার শীতপ্রধান এলাকার সাথে পাল্লা দিচ্ছে। বিকেলের রশ্মি কম হওয়ার সাথে সাথেই কুয়াশার ধূসর চাদরে গা ঢাকা দিচ্ছে চোখের অদূরে থাকা ঘর-মাঠ-গাছগুলো.. একটু নিচে চোখ নামলে ধানক্ষেতের হলদেটে খড় শেষ বিকেলের সোনালী রদ্দুর গায়ে চকচক করতে দেখা যায়। ক্রমশঃ উজ্জ্বলতর হতে থাকা এক তৃতীয়াংশ চাঁদখানার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছে হাশমত। সব ঠিকঠাক থাকলে সামনের বছর হজ্ব করতে যাওয়ার ইচ্ছে। এইবার ফিরে ব্যবসার পাট তুলে রাখবে। অনেক তো সবার জন্য বাঁচা হলো, শেষের দিনগুলো খোদার নাম নিয়েই কাটানো যাক! হঠাৎ হাসিমুখে প্রায় দৌঁড়ে ঘর থেকে বের হয় রুশনা বিবি। ছেলে ফোন করেছে, কথা বলতে চায় আব্বার সাথে। কানে ফোন নিতেই ওপার থেকে ভেসে আসে জসিমের গলা। আর দুইদিন পরেই বাড়ি আসছে, যদিও বেশিদিন থাকতে পারবে না। ট্রেনে আসছে তাই আসার পথে জাগীরোড থেকে মাল তুলে নিয়ে আসতে পারবে। বাপের কাছে জানতে চাইছে কতটা কী আনতে লাগবে। ছেলেকে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে ফোন রাখে হাশমত। একদিকে ভালোই হলো... এই হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় মাল আনতে যাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছিল না। তার উপরে বাদশাটা আবার ক'দিন থেকে পাগলামো শুরু করেছে। গতকাল বিকেলে গাছের ডালপালা দিয়ে ঝাড়ু বানিয়ে রাস্তা সাফ করছিল। সব ধুলো-ময়লা যে গায়ে উঠে আসছে, সেইদিকে মোটেই ভ্রূক্ষেপ নেই তার। পাড়ার মহা ধড়িবাজ ছেলে-ছোকরাগুলো অনবরত পিছনে লাগছে ..."বাদশা পাগলা, তুমার দিন কাছাই গেছে" উত্তরে কিছু না বলে হাসিমুখে চেয়ে থাকে সে। প্রশ্রয় পেয়ে তারস্বরে চেঁচিয়ে উঠছে পোলাপানরা। হাশমতকে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরল। রোজ বাবু বলে ডাকা হাশমতকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে "বড় ভালা মানুষ রেবা তুইন, যারে বেটা আইজ থাকি গাঙর সারা মিঠা পানি তোর নামে করি দিলাম।" দুর্গন্ধভরা আলিঙ্গন থেকে কোনোমতে নিজেকে মুক্ত করে বাড়ি ফিরে এসেছিল হাশমত। আগামী ক'দিন এই পাগলটাকে এড়িয়ে চলতে হবে। শুঁটকির বস্তাগুলো স্টেশন থেকে বাড়ি আনার জন্য এইবার অন্য কোনো ব্যবস্থা দেখতে হবে। তবে পিতার প্রতি ছেলের এই উদ্বেগ, ভাবনার জন্য মনটা বেশ খুশি হয়ে ওঠে হাশমতের। না..না অযথাই জসিমটার উপরে রাগ করছিল। ছেলেগুলো মনের মতোই হয়েছে, প্রফুল্ল মনে নামাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় হাশমত।

আগামীকাল ছাব্বিশে জানুয়ারি, স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে চেঁচে-ছুলে রেখেছে হাশিম। বেশ কিছুদিন পর ছোটভাই জসিম আসছে তাই ফুরফুরে মেজাজে আছে সে। ছেলে আসার খুশিতে বিরোইন চাল ধুয়ে চুঙাতে পুরে রেখেছে রুশনা। সিদ্ধ পিঠা বানানোর ইচ্ছে থাকলেও ঘরের সব কাজ শেষে করে উঠতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। বুড়ো হাড়ে এতো কাজ আর সয় না, এইবার ছেলেদের বিয়ে দিয়ে দিলেই হলো। বেশ কিছুক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকার পর, চাদরখানা গা থেকে খুলে ভাঁজ করে রাখে হাশমত। হঠাৎ বাড়ির পথে সজোরে ব্রেক কষে খয়েরি রঙের জিপ। লম্বা বন্দুকধারীরা দৌঁড়ে ঢুকে যায় হাশমতের বাড়িতে। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই হাশমতের দুইহাত পিছন করে বেঁধে দেয় অসমীয়া-হিন্দিভাষী রক্ষীরা। হাশিম এগিয়ে আসতে চাইলে ধাক্কা দিয়ে তাকে দূরে সরিয়ে দেয় এক বন্দুকধারী। পরনে লুঙ্গি আর কনুই হাতা সাদা গেঞ্জি পরিহিত হাশমতকে গাড়ির পিছনে বসিয়ে নিমিষেই নাটকের দৃশ্যের মতো উধাও হয়ে যায় গাড়িখানি। দৌঁড়ে রাস্তায় বেরোলে চোখে ধুলো ছাড়া আর কিছুই ধরা পড়ে না হাশিমের। একটা হাড়হিম শিরশিরানি গলা বেয়ে পুরো শরীরে সংক্রামিত হয়ে যায় তার।

"শান্তির শহরে পাওয়া গেল সন্ত্রাসবাদের বীজ!" জনপ্রিয় সংবাদপত্রের শিরোনামে বেরিয়েছে খবরখানি। হাশমতের বাড়ির আশেপাশের বাতাসে ভাসছে লোকের কানাঘুষো। শুঁটকি বেচে এতো টাকা-পয়সা বানানো যায় নাকি! এটাই তাহলে কি বুড়োর উন্নতির আসল রহস্য! বদমাশটা তাহলে এতোদিন ভালোমানুষের মুখোশ পরে ছিল! ছিঃ! গুয়াহাটিতে হাশমতের নামে বুক করা পার্সেলের ভিতর শুঁটকির আড়ালে লুকোনো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটা গ্রেনেড, রাইফেলসহ ভালো পরিমাণে গোলাবারুদ পাওয়া গেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মহানগরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছিল জঙ্গিরা। গুয়াহাটি থেকে কেউ ধরা না পড়লেও পুলিশ হাশমতকে রিমান্ডে নিয়েছে। লজ্জায়, অপমানে আজকে সকালে আর জাতীয় পতাকা উত্তোলনে যায়নি হাশিম। রাতে একফোঁটা ঘুমায়নি রুশনা বিবি, তার কান্না যেন থামতেই চাইছে না। স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এইদিকে সকাল থেকে অনেক চেষ্টা করার পরেও ছেলেটার ফোন লাগছে না, যার নাকি আজকে বাড়ি আসার কথা ছিল। জং ধরা রডে ঘেরা অন্ধকার কুঠুরিতে এক কোণে জুবুথুবু হয়ে বসে আছে হাশমত। সারা গায়ে ব্যথা তার...দু-একটা চড়-থাপ্পড়ের পরে পিঠে-পায়ে কয়েক ঘা পড়ার ব্যথা সময়ের সাথে সাথে বেড়েই চলছে।ঠাণ্ডা মাথায় এখন সব হিসাব ধীরে ধীরে মিলতে শুরু করলেও মন কিছুতেই মানতে চাইছে না তার। অভিমানী মন আজ জবাব চায় বিশ্বাস, নির্ভরতার... থানাতে এনে অনেক ধমকানোর পরেও মুখ বন্ধ করছে না বাদশা পাগলা। একা একাই বিড়বিড় করে যাচ্ছে...

-- মানুষ অইলা না রে, দুনিয়াইর জমিনো আমার পুয়াপুরিন ইগুনতা মানুষ অইলা না। কত ভালা পাইলাম…

 চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পরে স্বঘোষিত ঈশ্বরের।

Comments

Popular posts from this blog

তবু আগমনী বাজে..

#সর্বভুক

শারদ সুজন